যুক্তিসঙ্গত চিন্তাভাবনা এমন একটি প্রক্রিয়া যা তথ্য নিয়ে চিন্তা করার জন্য যুক্তি ব্যবহার করে এবং যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক এবং বস্তুনিষ্ঠ চিন্তাভাবনা যা আবেগ বা পক্ষপাতের পরিবর্তে প্রমাণের উপর ভিত্তি করে। যুক্তিসঙ্গত চিন্তাভাবনার লক্ষ্য হল যুক্তিসঙ্গত সমাধান বা কারণ তৈরি করা। ভারতে আবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক অবশিষ্টাংশ (শিলালিপি, পাথরের স্ল্যাব, দুর্গ, পবিত্র স্থান, সভ্যতা-সংস্কৃতি) বিশ্লেষণ করে এবং আমার জীবনে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করে, আমি ধীরে ধীরে বাস্তবতার এক ঝলক দেখতে শুরু করি। আপনি যদি সঠিক উপায়ে সমাজের প্রকৃত সত্যকে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে আপনি সত্যের কাছাকাছি আসবেন। সমস্ত তথ্য পরীক্ষা করার পরে, আমার সমস্ত কিছু লেখার তাগিদ ছিল, তাই আমি একের পর এক সবকিছু কথায় রাখতে শুরু করি এবং ফলস্বরূপ, আমার উপরের চিন্তাভাবনাগুলি এখন একটি বইয়ের আকারে আপনার কাছে উপলব্ধ। যাই হোক না কেন, আপাতত আমি আমার প্রচেষ্টাকে অসম্পূর্ণ বলে বিবেচনা করব। প্রকৃতপক্ষে, আমার প্রচেষ্টাগুলি তখনই কার্যকর বলে বিবেচিত হবে যখন প্রত্যেক ব্যক্তি এই সমস্ত বিষয়গুলি প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করবে।
আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে, আপনি যেন এটি তাড়াহুড়ো করে না পড়েন। মধ্যযুগে যখন মুঘল ও ব্রিটিশরা ভারতীয় শক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল, তখন বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে ভারতীয় সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল, সেই বিষয়টি এবং সেই সময়ের যারা এই ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, তাঁদের সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করেছি। আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করতে চাইনি, তবে যদি এই বইটি কারো মনে কষ্ট দেয়, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দয়া করে তাড়াহুড়ো করে এটি পড়বেন না; বরং ধৈর্য ধরে পড়ুন, শান্তভাবে সময় নিন, একটু একটু করে পড়ুন এবং পরে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করুন। যখন আপনি পড়বেন, তখন আপনি সমাজের বুদ্ধিজীবীদের গুরুতর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবেন এবং এর প্রতি আপনার মনোযোগ বাড়বে। এরকম ঘটনা কি আগে কখনো ঘটেছিল?