You can access the distribution details by navigating to My Print Books(POD) > Distribution
দক্ষিণাকালী, শ্মশানকালী, রটন্তিকালী, কৌশিকীকালী, ফলহারিণী কালী - মা ব্রহ্মময়ী সবার মা। তিনি এক ও অভিন্ন। তবু সাধকের মনের ভাব ও দৃষ্টি অনুযায়ী তিনি ধরা দেন বিভিন্ন রূপে ও বিভিন্ন নামে।আমরা নিজের মনের মত করে তাঁকে ডাকি নানা নাম নিয়ে।
বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে হয়ে থাকে কালীপূজা। মা কোথাও চতুর্ভূজা কোথাও বা দ্বিভূজা। কোথাও তিনি শুভঙ্করী কোথাও বা ভয়ঙ্করী। গৃহী ও সংসারীর কাছে মায়ের এক রূপ - আবার তান্ত্রিক সন্ন্যাসীর কাছে মায়ের আরেক রূপ।
মায়ের বিভিন্ন রূপগুলিকে একত্রে সঙ্কলন করার চেষ্টা করা হয়েছে এই বইটিতে। প্রতিটি রূপ নিয়ে হয়ত এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রন্থ লেখা যায়। তত্ত্বের খুব বেশি গভীরে না ঢুকে সহজ ভাষায় মায়ের রূপগুলির বর্ণনা ও সেই রূপটির সঙ্গে জড়িত সৃষ্টিকাহিনীগুলি তুলে ধরা হয়েছে। তেত্রিশ কোটি দেবতার মত মায়ের তেত্রিশ প্রকার রূপের বর্ণনা আছে এই বইটিতে। এছাড়াও উল্লেখ আছে আরো অনেক অনেক রূপের কথা।
Primary Source to know Maa Kaali
বেদ থেকে শুরু করে পুরাণ এবং তন্ত্র শাস্ত্রে মা কালীর উদ্ভব ও বিবর্তন কিভাবে হয়েছে তা বইটিতে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে. মা কালীর রূপের মধ্যে তাঁর খোলা চুল, কালো গায়ের রং, মায়ের বসনহীন মূর্তির পিছনের তত্ত্বগুলো খুব সুন্দর করে বর্ণনা করা হয়েছে. রক্ষাকালী, ফলহারিণী কালী এঁরা কারা, কেনই বা এঁদের এরকম নাম এবং কেনই বা বছরের বিভিন্ন সময়ে এদের পুজো হয় এই বইটি যে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে. দশমহাবিদ্যায় মায়ের দশটি রূপ এবং সেই রূপের পিছনের কাহিনীও খুব সুন্দর করে বর্ণনা করা হয়েছে. ছোট থেকে আমার মনে মা কালী কে কেন্দ্র করে যেসব প্রশ্ন ছিল সেগুলোর উত্তর তো পেয়েইছি উপরন্তু আরও অজানা ও অনেক অচেনা মাতৃরুপের কথাও জানতে পারলাম. বইটি আমাকে সমৃদ্ধ করেছে. আমার মনে হয় যেকোনো কালীভক্তের মাকে জানার জন্য এই বইটি একটি preliminary source of knowledge হিসাবে কাজ করবে.
লেখক মুখবন্ধেই বলেছেন এই বই মা কালী কে জানার প্রথম সোপান মাত্র. বই টা পড়া শেষ করে মায়ের সম্পর্কে আরও বেশি জানার কৌতহল আমার আরও বেড়ে গেল