Description
"অন্তিম আলোর আগেই" এক আত্মার নিঃশব্দ আহ্বান—জীবন আর মৃত্যুর সীমারেখায় দাঁড়িয়ে এক অন্বেষণ, এক প্রত্যাশা। এ উপন্যাসে আত্মা শুধু স্মৃতির ভার নয়, বহন করে অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার তীব্র আকুতি। জন্মের অর্থ, মৃত্যুর গন্তব্য আর আত্মার অনন্ত পথচলা—সব মিলিয়ে এই গল্প প্রশ্ন তোলে, উত্তরও খোঁজে। মানবিক অনুভূতি আর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতায় মোড়ানো এই উপন্যাস পাঠককে ভাবাবে—জীবন কি শুধুই সময়ের অঙ্ক, না কি তারও আগে ও পরে কিছু থাকে?
সাধারণ বাঙালি গৃহবধূদের মতোই অপুস্নিগ্ধা সরল সাবলীল জীবন ধারনে অভ্যস্ত। তবে প্রথম থেকে সে নিজেকে চার দেওয়ালের মধ্যে রেখেই নিজের একটা আলাদা জগৎ তৈরি করে রেখেছে। সে গল্পের বই পড়ে, গিটার বাজায়। জিমে যায়। বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্টে যায়। একাধিক অস্ত্রপচারের সত্বেও মনের জোর ও ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সে ঘুরে বেড়ায় এ পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। একাধিক বার দার্জিলিং-এর বিভিন্ন গ্রাম, সান্দাকফু, টুমলিং ও অসংখ্য প্রদেশ, শিলং, মেঘালয় ঘুরে বেড়িয়েছে।
সে হরিদ্বার - দেরাদুন - মুসৌরি ঘুরেছে। নীলকণ্ঠ দর্শন করতে কঠিন পথ পেরিয়েছে। কোয়েম্বাটুর - বদ্রিনাথ - তুষারপাথ ট্রেক করেছে। আবার নর্থ সিকিমের মাইনাস সতেরো (-17) ডিগ্রিতে গুরদংমার., জিরোপয়েন্ট - ছাঙ্গু ঘুরেছে।
প্রবল শ্বাসকষ্টে পরম বন্ধুদের হাত ধরে নাথুলার সিঁড়ি উঠেছে। সে দিল্লি - আগ্রা - অমৃতসর - ওয়াঘা বর্ডার ঘুরেছে। তালে তাল মিলিয়ে নেচেছে বন্ধুদের সাথে। বেনারস - কাশী গেছে পূণ্য অর্জন করতে। ভারতের ভ্রমণের গল্প তার চোখেমুখে।
নিজের জগৎকে সৃষ্টি সে নিজেই।
বাবু-মায়ের আদরের কন্যা।
আবার স্বামী-পুত্রের সংসারে রাজরানী সে।
পুত্রবধূর কাছে বন্ধন সে।
আসল অপুস্নিগ্ধা , যেকোনো সাধারণ মানুষের মতোই সাদামাটা।
কোনো নামকরা লেখিকা নয়।
তার জীবনের একটাই মূল মন্ত্র – BE GOOD AND DO GOOD