You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
সুন্দরবন যা বর্তমানে ‘ সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান ’ নামে পরিচিত , সেটি রচনা বৈশিষ্ট্যে ম্যানগ্রোভ চরিত্রের বৃক্ষের অরণ্য | এর উপস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় বদ্বীপ অঞ্চলের পূর্ব প্রান্ত এবং বাংলাদেশের সীমানায় বদ্বীপ অঞ্চলের পশ্চিম প্রান্ত ব্যাপী বিস্তৃত |
প্রায় সার্বজনীন ভাবে একথা বলা হয়ে থাকে যে সুন্দরী গাছের উপস্থিতির কারণেই এই অরণ্যের নাম সুন্দরবন হয়েছে | এই বক্তব্যে একটি প্রশ্ন মনে জাগে ; সুন্দরী গাছের উপস্থিতিই যদি নামকরণের মূল কারণ হয়ে থাকে তাহলে তো অরণ্যটির নাম সুন্দরবন না হয়ে সুন্দরীবন হওয়া উচিত ছিল | কোনো কারণ ছিল কি যার জন্য সুন্দরীবন থেকে রূপান্তরিত হয়ে এই অরণ্যের নাম সুন্দরবন হয়েছিল ?
আপাতদৃষ্টিতে স্ত্রীলিঙ্গ সূচক ‘ ঈ ’ বর্ণটি বর্জিত হওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না | সাধারণত প্রাগৈতিহাসিক নামগুলি বিকৃত উচ্চারণের কারণে পরিবর্তিত হয়ে যায় না | যদি সেরকম কিছু ঘটেও থাকে তবেও কোনো না কোনো সূত্র থেকে যায় যার দ্বারা প্রাচীন নামটি পর্যন্ত পৌঁছানো যায় এবং কিভাবে সেই নাম পরিবর্তিত হয়েছিল তার সন্ধানও পাওয়া যায় | কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না যে প্রাচীন কালে কোনো সময় এই অরণ্যের নাম সুন্দরীবন ছিল | সর্বদা এই অরণ্যের নাম সুন্দরবন বলেই প্রতিভাত হয়েছে | স্বাভাবিকভাবেই একথা মনে হয় যে সুন্দরী নামের সাথে এই অরণ্যের নামকরণের কোনো আপাতগ্রাহ্য সম্পর্ক নেই |
জন্মসূত্রে বাঙালি , নারু তার আহৃত বিদ্যার সাথে কিছু যুক্তির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে এই নামের উদ্ভবের একটি যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা তৈরির প্রচেষ্টা করেছে যেখানে সুন্দরী গাছের সাথে এই অরণ্যের নামকরণকে যুক্ত করার কোনো প্রয়োজন থাকে না |
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book বাংলার উৎপত্তি ( তৃতীয় পর্ব ) সুন্দরবন.