You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
বঙ্গদেশে উপাসনা বা সাধনায় রাধা-ভাব' বা 'বামা-ভাব' বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেখক সাতের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, তাঁর ভ্রাম্যমান জীবনে, বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন এলাকায় এ-ধরনের বহু সাধকের সঙ্গ লাভ করেছিলেন, যাঁদের মূল বক্তব্যটিই ছিল, পরমপুরুষকে উপলব্ধি করতে হলে নিজের ভেতরে নারীত্বের অনুভূতি বা বামাভাব নিতান্ত প্রয়োজন। অর্থাৎ কিনা, নারীত্বের অনুভূতি ছাড়া প্রকৃত প্রেমের অভিজ্ঞতা হয় না। লেখক আরও লক্ষ করেছিলেন যে, বঙ্গ-সংস্কৃতির আওতা ভুক্ত উপাসক বা সাধকেরা, ---তা তিনি যে কট্টর পিতৃতান্ত্রিক মৌলবাদী ধর্মের আয়ত্তাধীন-ই হন না কেন, শেষ অবস্থানে তাঁর সাধনায় পরমপুরুষকে উপলব্ধি করতে বাঙালি মানসিকতায় পেয়েছিলেন ওই একটি মাত্র পথেরই সন্ধান, এবং তা হলো বামাভাব। এ ব্যাপারে আমরা যেমন শ্রীচৈতন্য, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস প্রমুখ সাধকদের সাধনায় রাধাভাব বা বামাভাব-এ সাধনার হদিস পাই; তেমনি, এখনও ওই 'বামাভাব'-এ সাধনার ব্যাপারটা দেখতে পাই, সহজিয়া বাউল, বাউদিয়া কিংবা সাঁই-ফকির সম্প্রদায়ের মধ্যেও।
লেখক ঠিক এ-ধরনেরই বিশেষ গুণ-সংবলিত সাধকদের চরিত্র এবং তাঁদের সহজ দর্শন নিয়ে সাত ও আটের দশকে বেশ কিছু প্রবন্ধ ও ফিচারধর্মী লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন। লেখাগুলো পাঠক মহলে সে-সময়ে খুবই সমাদৃত হয়েছিল। পরে পাঠকদেরই উৎসাহে তিনি ব্রতী হয়েছিলেন, বঙ্গীয় সংস্কৃতি ভুক্ত সাধকদের মানসিকতায় এই বামাভাব বা রাধাভাব-এর প্রকৃত উৎসের হদিস পেতে।
এই বিশেষ তথ্যানুসন্ধানধর্মী বইটিতে পাওয়া যাবে বিখ্যাত সব পণ্ডিতদের মতামত সাপেক্ষে লেখকের বস্তুবাদী মানসিকতায় আলোচিত সাধনায় 'রাধা-ভাব'-এর উৎসের হদিস এবং, সেই সঙ্গে, বাঙালির ধর্মীয় মানসিকতার সন্ধান।
অতনু দত্তগুপ্ত
(সংকলক)
অর্চিশা প্রকাশনী, কোলকাতা-- ২৮।
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book উপাসনা, সাধনা এবং দেহাত্মবাদ.