প্রশিক্ষণ হচ্ছে একটি পরিকল্পিত কার্যক্রম। প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন করা হয়। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন ব্যক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন সাধন করে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে তার যোগ্যতার উন্নতি ও সমৃদ্ধি সাধন করা।
আমরা সমাজবদ্ধ জীব। এ সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে আমাদের আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসার সম্পর্ক। আনন্দ, বিষাদে একে অপরের পাশে থেকে আমরা হয়ে উঠি আপনজন। এভাবে একই সমাজে পাশাপাশি থাকতে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। কখনও অন্যের প্রয়োজনে আমরা ভালোবেসে ছুটে যাই, আবার কখনও আমাদের প্রয়োজনে তারা ভালোবেসেই ছুটে আসেন। এভাবে আমাদের মধ্যে গড়ে ওঠে সম্পর্কের বন্ধন।
তবে সবসময় কি সম্পর্কগুলো এমন মধুর হয়? মতের অমিল থেকে অনেক সময় দ্বন্দ্বও হয় তাই না? দ্বন্দ্ব নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই অনেক ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দেখা দেয়; বেড়ে যায় মানসিক চাপ। অনেক সময় এই দ্বন্দ্ব থেকে সৃষ্টি হয় মনোমালিন্য, বিশৃংখলা, সংঘাত কিংবা সহিংসতা।
দ্বন্দ্ব, তর্ক,যুক্তি এবং পরিবর্তন আমাদের প্রতিটি জীবনের স্বাভাবিক অংশ। তবে এক জ্ঞানী ব্যক্তির মতে ১০% দ্বন্দ্ব মতের পার্থক্যের কারণে এবং ৯০% কণ্ঠস্বরের ভুল স্বরের কারণে। দ্বন্দ্ব নিরসন হল দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে মতবিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার একটি উপায়। মতবিরোধ ব্যক্তিগত, আর্থিক, রাজনৈতিক বা মানসিক-আবেগিক হতে পারে। দ্বন্দ্ব নিরসন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক পক্ষ একটি মতবিরোধ, বিবাদ বা বিতর্কে জড়িত একটি চুক্তিতে পৌঁছায় এবং এটি সমাধান করে।
রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের পর প্রায় দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। এর ফলে আমাদের সামাজিক জীবনে যাপনে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। সামাজিক সহাবস্থানের নীতির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচনা সম্ভব।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হবে।