একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী প্রথমে প্রিন্ট মিডিয়া এবং পরে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতং সিনের কোম্পানি নর্থ ইষ্ট মাল্টিমিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে সাতবছর জেলা আদালত এবং হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে মামলা লড়ে জিতলেও তাঁর কিন্তু আইনের ডিগ্রি নেই।
প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী একসময়ের ছাত্র রাজনীতিতে পরিচিত। তিনি এমবিবি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ছাত্রনেতা ছিলেন।
ত্রিপুরায় প্রথম 'সাহিত্য উৎসব'(১৯৯৬), 'ঈদ উৎসব'(২০০৯), 'ভারতমাতা উৎসব'(২০১৬) ইত্যাদি একেবারেই ব্যতিক্রমী ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর মস্তিষ্কপ্রসূত এবং উদ্যোগে আয়োজিত।
১৯৯৬ সালে নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের জন্মশতবর্ষে আয়োজিত নেতাজী বিষয়ক আন্ত: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় সারা ত্রিপুরায় চ্যাম্পিয়ন হন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী।
২০১৮ সালে 'আজাদ হিন্দ সরকার' এবং তার প্রধান হিসেবে নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবিত তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। নেতাজীর অসামান্য অবদানের কথা দেশব্যাপী প্রচার করতে তিনি 'মিশন নেতাজী সুভাষ' শুরু করেন। তাঁর এই উদ্যোগ সাফল্য লাভ করে যখন প্রধানমন্ত্রী ২১ অক্টোবর ২০১৮ লালকেল্লায় বিশেষ অনুষ্ঠানে সরকারের তরফে আজাদ হিন্দ সরকার এবং তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুকে প্রকাশ্যে স্বীকৃতি জানান।
এছাড়া এনএসএস এর স্বেচ্ছাসেবক-নেতা এবং ভারত সরকারের নেহেরু যুব কেন্দ্রের এনএসভি হিসেবেও অসংখ্য ব্যতিক্রমী কাজের ছাপ রেখেছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী।