You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
নারু তার জীবনব্যাপী এক মনন নির্ভর যাত্রায় রত হয়েছিল। সেই যাত্রার সূত্রপাত হয়েছিল বাঙ্গাল শব্দটির প্রকৃত অর্থ উদ্ধারের নিমিত্ত। নানাবিধ উৎস হতে প্রাপ্ত সূত্রাবলীর প্রয়োগে সে সেই শব্দের এক যুক্তিনির্ভর ব্যাখ্যায় উপনীত হতে সক্ষম হয়। অধুনা বাংলা নামে পরিচিত অঞ্চলের এক অনন্য ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের সাথে বাঙ্গাল শব্দের সম্পর্ক স্থাপন করতে সে সক্ষম হয়। প্রাচীন ভারতে স্থান নাম নির্ধারণে ভূগোলের প্রভাব ছিল সর্বাধিক, একথা বিভিন্ন সূত্র হতে জানার পাশাপাশি নিজের মনন নির্ভর যাত্রার সময়েও সে অনুভব করতে সমর্থ হয়।
বাঙ্গাল এবং তৎসম্পর্কিত অনেক শব্দের কেন্দ্রে অবস্থান করে যে শব্দ সেটি হল ‘বঙ্গ’। সেই শব্দ সম্পর্কিত যাত্রা নিয়ে যায় অতীতের অনেক গভীরে এমন এক সময়ে যেখানে প্রামানিক তথ্য অনুপস্থিত। সেই মায়াবী জগৎ নারুকে হাতছানি দিয়েছিল।
বাংলার অতীত অভিমুখে প্রামাণ্য তথ্যনির্ভর যে কোন যাত্রা বর্তমান সময় হতে আনুমানিক ৫০০০ বছর পূর্বকালে পৌঁছে গতিরুদ্ধ হয়। সেই সময়ের পূর্বে বাংলা নামে পরিচিত ভূভাগের অধিকাংশই ছিল এক সমুদ্রাঞ্চল। সেই দুর্লঙ্ঘ্য বাধা সে অতিক্রম করতে সমর্থ হয়েছিল বলে নারুর মনে হয়েছিল। যে পর্বতের উপস্থিতি তার মানসচক্ষে সে বাংলা অববাহিকার কেন্দ্রস্থলে দেখেছিল, সেই পর্বতকে সে আটলান্টিসের কাহিনীর পর্বত বলে স্বীকার করেছিল। সেই অনুমান বাংলা শব্দের উদ্ভব থেকে শুরু করে এমন অনেক রহস্যপূর্ণ উপস্থাপনার যুক্তিপূর্ণ সমাধান করার ক্ষমতা রাখে যেগুলি বাংলা ও ভারতের পরম্পরার সাথে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত, কিন্তু আজ অবধি অব্যাখ্যাত রয়ে গেছে।
‘বাংলার উৎপত্তি’ নামক পুস্তক ক্রমের পঞ্চদশতম ভাগের এই পুস্তকটি বাংলা শব্দটির সম্ভাবিত উদ্ভব সংক্রান্ত এক কাল্পনিক যাত্রার বিবরণ।
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book বাংলার উৎপত্তি ত্রয়োদশ পর্ব বং লা আটলান্টিসের পথ.