You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
বাংলা অববাহিকা নামে পরিচিত ভূখণ্ডের পূর্বাংশটি অধুনা বাংলাদেশ নামক একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র । সেই রাষ্ট্রের রাজধানী শহর ও তার সন্নিহিত অঞ্চলের নাম ঢাকা । কোনো স্থানের নাম নির্দেশ করতে যখন ঢাকা শব্দটি ব্যবহৃত হয় তখন সেটি চরিত্রে একটি বিশেষ্য পদ , এবং সেই শব্দের সেইরূপ ব্যবহার অনন্য । অন্য কোনো ক্ষেত্রে স্থান নাম নির্দেশ করতে সেই শব্দের ব্যবহার দেখা যায় না । বিশেষ্য পদ হিসাবে ব্যবহৃত হওয়া ব্যতিরেকে , বিশেষণ পদ হিসাবে বাংলা ভাষায় ঢাকা শব্দের বিশিষ্ট ও বহুল ব্যবহৃত উপস্থিতি আছে । স্থান নাম হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকা শব্দের বিবর্তন সম্বন্ধে বহু বিদ্বান বেশ কিছু ব্যাখ্যার উপস্থাপনা করেছেন । সেই সমস্ত ব্যাখ্যা অন্য কোনো শব্দ অথবা ঘটনা থেকে ঢাকা শব্দে উপনীত হওয়ার বিবরণ প্রদান করে । সেই প্রকার কোনো প্রস্তাব সেই স্থানের নামের সাথে ঢাকা শব্দের যুক্তিনির্ভর , সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয়নি ।
তার আলেয়ার সক্রিয় উদ্যোগে উন্মোচিত পথে তার বৌদ্ধিক যাত্রাকে পরিচালিত করে এই সাহিত্যক্রমের মূল চরিত্র নারু কল্পনা করতে সমর্থ হয়েছিল যে অতি প্রাচীনকালে , বর্তমান সময়ে যাকে আমরা ‘ বাংলা অববাহিকা ’ নামে চিনি , সেই ভূখণ্ডে একটি দ্বীপ-পর্বতের উপস্থিতি থাকা বেশ সম্ভব ছিল । গ্রীক দার্শনিক প্লেটো কর্তৃক বর্ণিত আটলান্টিস হলো মানব ইতিহাসের সবথেকে পরিচিত দ্বীপ-পর্বত ।
বাংলা অববাহিকার ভৌগোলিক ও ভূতাত্ত্বিক রচনা আটলান্টিসের প্রবাদের ঘটনাস্থল হিসাবে নিজের দাবীকে জোরের সাথে উপস্থাপিত করতে পারে ।
যখন সেই ভূগোলে নিমজ্জিত এক দ্বীপ-পর্বতের ধারণার অবতারণা করা হয় তখন অন্য কোনো শব্দ হতে বিবর্তিত হয়ে সৃষ্ট শব্দ না হয়ে ঢাকা শব্দটি নিজের অর্থেই সেই স্থানের নাম হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে । সেক্ষেত্রে বাংলার পরিচায়ক অপর একটি শব্দগুচ্ছ ‘ সোনার বাংলা ’, একটি রূপক না হয়ে বাস্তবতার প্রতিফলন হয়ে ওঠে ।
অধ্যয়নের বিভিন্ন ধারার বিবরণ হতে এই ধারণার বৈধতার সমর্থনে তথ্য এবং সূত্র অনুসন্ধানের নিমিত্ত নারুর বৌদ্ধিক যাত্রা সম্পর্কিত এই পুস্তকটি ।
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book বাংলার উৎপত্তি দ্বাদশ পর্ব ঢাকা সোনার বাংলা.