You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution

Add a Review

বাংলার উৎপত্তি নবম পর্ব বাংলা , বাঙালী , সংস্কৃতি , ও অশরীরীর প্রচ্ছায়া (eBook)

Origin of Bangla Ninth Part Bengal, Bengali, Culture, and The Spectre
Type: e-book
Genre: Literature & Fiction
Language: Bengali
Price: ₹150
(Immediate Access on Full Payment)
Available Formats: PDF

Description

বঙ্গ , বাঙ্গাল ইত্যাদি শব্দের যৌক্তিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাখ্যার খোঁজে নারু যে যৌক্তিক যাত্রা শুরু করেছিল , সেই পথচলায় সে বঙ্গ নামের অস্তিত্বে আসা নিয়ে একটি অশ্রুতপূর্ব ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যায় উপনীত হয়েছিল । সেই ব্যাখ্যা , সেই অববাহিকার ভূতাত্ত্বিক ও ভৌগোলিক বিবর্তনের যে সময়সারণি সেই সব অধ্যয়ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা বৈজ্ঞানিকগণ প্রদান করে থাকেন , তার সাথে সাযুজ্যপূর্ণ হয়েছিল ।

উদ্যোগের পরিসমাপ্তির মুখে এসে আহৃত তথ্যভান্ডার , যুক্তিশৃঙ্খলার সাথে মিশে , নারুর মনকে এক নতুন দিগন্তের সামনে দাঁড় করিয়েছিলো । সেই পটভূমিতে , অল্প কিছু সময় পরেই নারু উপলব্ধি করেছিল যে সে যাত্রার এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে তাকেও সেই পথটি গ্রহণ করতে হবে যে পথটি গ্রহণ করার কথা অধ্যাপক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ভেবেছিলেন । নারুর মনে প্রত্যয়ের উদ্রেক হয়েছিল যে বাংলার ও স্বভাবতই বাঙ্গালীর সংস্কৃতিই সম্ভবত একমাত্র পথ যার মাধ্যমে বাংলা অববাহিকা অঞ্চলের ইতিহাসের ধূসর অতীত পর্যায়ে উঁকি দেওয়া সম্ভব । অপর যে কোনো পন্থা অবলম্বনে ইতিহাসের সেই পর্যায় অধরাই থেকে যায় ।

ভারতীয় ইতিহাসকার এবং সেই সূত্রে বাংলার ইতিহাসকারদেরও প্রাচীন ভারতের পটকথায় একটি এমন মানব গোষ্ঠীর অবতারণা করতে হয় , যাঁরা ভারতের ইতিহাসের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে সেই ভূমে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং যাঁদের অতি উচ্চ স্তরের মেধা ও আত্মোপলব্ধি ছিল , সেকথা ধরে নেওয়া জরুরী হয়ে পরে । প্রাগৈতিহাসিক তথা প্রাচীন ভারত সম্পর্কিত যে সমস্ত ধারণা বর্তমান মানুষের হাতে এসে পৌঁছেছে সেগুলিকে যুক্তিসম্মত ভাবে আত্মস্থ করতে হলে সেই ঘটনার অবতারণা অবশ্য প্রয়োজন হয়ে পরে । সেই কল্পিত উন্নত মানব সমাজের অস্তিত্বের কেবল আভাসমাত্রই পাওয়া যায় , তার অস্তিত্বের স্বপক্ষে কোনো বাস্তব প্রমান পাওয়া যায় না । প্রাচীন ভারতের সাংস্কৃতিক জগতের কল্পনাতীত উচ্চতা সেই প্রকার এক সমাজের অস্তিত্বের প্রতি নির্দেশ করে । অতএব ইতিহাসের প্রত্যেক যাত্রীকেই ভারতের ও বাংলার ইতিহাসের প্রাচীন পর্যায়ে সেই প্রকার একটি অধ্যায়ের অবতারণা করতেই হয় ।

ইতিহাসের সেই পর্যায়ে এসে , অর্থাৎ অতীতের যে পর্বে ভারতভূমে একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল জনগোষ্ঠীর উপস্থাপনা করতে হয় , সেখানে পৌঁছে ভারতবর্ষের সুদূর অতীত অভিমুখে যে কোনো যৌক্তিক যাত্রার আকস্মিক অন্ত ঘটে । আজ অবধি এমন কোনও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা যায়নি যা অস্পষ্ট ভাবে হলেও সেই ভূমির রহস্যময় অতীতকে ব্যাখ্যার চেষ্টা করতে পারে । কেউই সেই রাস্তায় হাঁটার সাহস প্রদর্শন করেননি । সেই প্রকার কোনো প্রস্তাবনাকে যৌক্তিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব ।

রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের বোধগম্য গতিধারার সাথে যৌক্তিক সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য সেই প্রস্তাবিত , অতি উন্নত গোষ্ঠীর ‘ আত্মঘাতী পতন ’ কে দায়ী করেছেন । এই জাতীয় একটি সভ্যতার অস্তিত্বের উপস্থাপনা এবং সেই সভ্যতার পরবর্তী পতন বা অবনমন হল এমন একটি প্রস্তাব , যা ভারতের অতীতের ইঙ্গিতসমূহকে বোঝার যৌক্তিক প্রবাহকে অক্ষুণ্ন রাখতে অনিবার্য হয়ে পড়ে ।

জ্ঞাত ও প্রমাণিত ইতিহাসে , মানবজাতি রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ইউরোপে একটি সভ্যতার অবনমনের সাক্ষ্মী থেকেছে । মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রার প্রাচীন ইতিহাসে যখনই কোনো ব্যাখ্যাতীত যতি দেখা যায় , তখনই সেই ধূসর অধ্যায়টিকে সংশ্লিষ্ট সমাজের স্বতঃপ্রণোদিত পতনের জন্য দায়ী করা সহজ হয়ে যায়, কারণ একই ধরনের উদাহরণ প্রমাণিত ইতিহাসে বর্তমান ।

ভারতের ক্ষেত্রে অসাধারণ মাত্রার কিছু ঘটেছিল । একটি সম্পূর্ণ কল্পিত সভ্যতা তার চিহ্নের কোনো অস্তিত্ব ব্যতিরেকেই অদৃশ্য হয়ে গেছে । সেই অনুমানিত সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত কোন পুরাতাত্ত্বিক অথবা অন্য কোন প্রকার বাস্তব প্রমাণ বর্তমান মানুষের হাতে এসে পৌঁছায়নি । নথিভুক্ত ইতিহাস যতদূর প্রকাশ করে , তা থেকে দেখা যায় যে পৃথিবীর অন্যান্য অনুরূপ ক্ষেত্রে অর্থাৎ যেখানে চূড়ান্ত মাত্রার সভ্যতাগত বা সামাজিক পতন ঘটেছিল , সেখানে কিছু বাস্তব অবশেষ , অর্থাৎ সেই ধরনের মানুষের অস্তিত্বের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আবিষ্কৃত হয়েছে ।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন : “ রাজকৃষ্ণবাবু মনে করিলে বাংলার সম্পূর্ণ ইতিহাস লিখিতে পারিতেন : তাহা না লিখিয়া তিনি বালকশিক্ষার্থ একখানি পুস্তক লিখিয়াছেন । যে দাতা মনে করিলে অর্দ্ধেক রাজ্য এক রাজকন্যা দান করিতে পারে , সে মুষ্টিভিক্ষা দিয়া ভিক্ষুককে বিদায় করিয়াছে ” ।

বাঙ্গালী সমাজের উদ্ভব সংক্রান্ত একটি রচনায় তিনি লিখেছিলেন যে " কেবল ব্রাহ্মণ কায়স্থে বাঙ্গালা পরিপূর্ণ নহে, ব্রাহ্মণ কায়স্থ বাঙ্গালীর অতি অল্পভাগ। বাঙ্গালীর মধ্যে যাহারা সংখ্যায় প্রবল, তাহাদিগেরই উৎপত্তিতত্ত্ব অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন "।

নারুর মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছিল যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো একজন পরম বস্তুবাদী ব্যক্তি , যিনি পাশ্চাত্য চিন্তাধারার প্রভাব সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং সেই সময় পর্যন্ত জনসমক্ষে প্রকাশিত সমস্ত পণ্ডিতদের লেখা সম্পর্কে অবহিত হয়েছিলেন , তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে " বাঙ্গালার ইতিহাস নাই "।

রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন “ ভূ-বিদ্যাবিশারদের নিকটে বাঙ্গালাদেশের শৈশব এখনও অতিক্রান্ত হয় নাই । এই নূতন দেশে বহু প্রাচীন আদিম মানবের অস্তিত্বের নিদর্শন আবিষ্কৃত হইবে , ইহা বোধ হয় কাহারও ধারণা ছিল না ” ।

বিশেষজ্ঞদের লেখা থেকে অনুভব করা যায় , বাংলা অববাহিকার ভূগোল ও ইতিহাসের অতীত অধ্যায়ের সাথে একটি ' অস্পষ্টতা ' জড়িত । এবং, বাঙালী সমাজের বিবর্তনের ক্ষেত্রেও একটি ‘ অব্যাখ্যাত অস্তিত্ব ’-র অনস্বীকার্য উপস্থিতি রয়েছে । যেন এক অতি প্রভাবশালী অশরীরী অবিরত তাঁর অনস্বীকার্য অস্তিত্বের নির্ঘোষ করে চলেছে ।

নারু দেখতে চেয়েছিল যে সে বাংলা অববাহিকার সাথে সম্পৃক্ত সেই ‘ অব্যাখ্যাত অস্তিত্ব ’ যা সর্বদাই উপস্থিত ছিল এবং ঐতিহাসিক সময়কালের সেই পর্যায়ের , যে পর্যায়ের স্বপক্ষে কোনও বাস্তব প্রমাণ উপস্থিত নেই , সেই সময়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা যাত্রিকদের চিন্তায় ধরা পড়েছিল , সে তার প্রকৃত স্বরূপ হৃদয়ঙ্গম করার দিশায় চিন্তার একটি পথ খুঁজে বার করতে পারে কিনা । অতীতের সেই ধূসর পর্যায়কে ' ইতিহাস ' বলা যেতে পারে । প্রাচীন ভারতীয় রচনাবলীতেও এই শব্দটি একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল । নারু একটি নতুন প্রকারের যাত্রার উদ্দেশ্যে তার মননের ভেলা ভাসাতে মনস্থ করেছিল , যেখানে বাংলার প্রাচীন অধিবাসীদের জীবনের বিভিন্ন আঙ্গিকের ধারণা সংগ্রহ করা , সেই অববাহিকাটির ইতিহাসের সাথে জড়িত ‘ অব্যাখ্যাত অস্তিত্ব ’–র অবগুন্ঠন উন্মোচন করার নিমিত্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল ।

শেষ পর্যন্ত, নারু এমন একটি সূত্র খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছিল , যার মাধ্যমে সে বঙ্গীয় অববাহিকার অতীতের গভীরতায় তার যাত্রা চালিয়ে যেতে সক্ষম হতে পারে । বর্তমান বইটি সেই অতি-গুরুত্বপূর্ণ সূত্রের ও সেই সূত্র খুঁজে পাওয়ার প্রক্রিয়ার বিবরণ প্রদান করে।

About the Author

প্রথাগত শিক্ষায় মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের ছাত্র দিব্যেন্দু চক্রবর্তী তাঁর পেশাগত জীবনে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে খুবই অপ্রচলিত কিছু ধারার কাজের সাথে যুক্ত থেকেছেন । কোনো এক অজ্ঞাত কারণে চাকুরী জীবনের উন্নতির হাতছানি তাকে প্রভাবিত করতে পারে নি । তিনি আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন কিছু কিছু অমীমাংসিত প্রশ্নের বা সাধারণ ভাবে অচর্চিত বিষয়ের মর্মোদ্ধার করার মাঝে যেগুলি শৈশবকাল হতেই তাঁকে অপরাপর বাঙালীর মতোই তাড়া করে এসেছে । পঞ্চাশোর্ধ চক্রবর্তী মহাশয় বর্তমান সময়ে কলম ধরেছেন তাঁর অনুভবগুলিকে সুধী পাঠক সমাজের সামনে মেলে ধরার তাগিদে । বিগত দুই বছর যাবৎ তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে । তার লেখা প্রতিটি বইই তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখেন ।

বর্তমান বইটিকে বিবেচনায় ধরে , এখনও পর্যন্ত তিনি ১১ টি বই লিখেছেন ।

তার লেখার প্রধান চরিত্রটির নাম নারু । নারুর মনে , তার জন্মস্থান , বাংলা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উদয় হয়েছিল , তার মাধ্যমিক শিক্ষার শুরুর সময় থেকেই । পরবর্তী সময়ে , সে যখন ম্যানেজমেন্ট শাস্ত্র সম্বন্ধে অধ্যয়ন করে, সেই পর্যায়েও কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর অধরাই থেকে যায় । তার অন্তরাত্মা যুক্তির হাত ধরে এক যাত্রা শুরু করেছিল , যা শেষ পর্যন্ত তার মনে এমন একটি ছকের সৃষ্টি করেছিল যে ছক বাংলা এবং ভারত সম্পর্কিত অনেকগুলি অমীমাংসিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে । সে আরও উপলব্ধি করেছিল যে একই সময়ে , তার মানসযাত্রায় প্রাপ্ত মূল সূত্রটি মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট সহ জ্ঞানের আরও অনেক বিভাগের বিভিন্ন অমীমাংসিত ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায় ।

তাকে dibyendu.chakraborty@gmail.com ঠিকানায় যোগাযোগ করা যেতে পারে ।

Book Details

Publisher: Dibyendu Chakraborty
Number of Pages: 210
Availability: Available for Download (e-book)

Ratings & Reviews

বাংলার উৎপত্তি নবম পর্ব বাংলা , বাঙালী , সংস্কৃতি , ও অশরীরীর প্রচ্ছায়া

বাংলার উৎপত্তি নবম পর্ব বাংলা , বাঙালী , সংস্কৃতি , ও অশরীরীর প্রচ্ছায়া

(Not Available)

Review This Book

Write your thoughts about this book.

Other Books in Literature & Fiction

Shop with confidence

Safe and secured checkout, payments powered by Razorpay. Pay with Credit/Debit Cards, Net Banking, Wallets, UPI or via bank account transfer and Cheque/DD. Payment Option FAQs.