You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
একথা জানা গেছে যে ভারতভূমিতে বসবাসকারী প্রাচীন বাসিন্দাগনের এক বিপুল অংশের কাছে 'এগিয়ে চলা’ জীবনের অন্যতম মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল (‘হিন্দু শব্দের উৎপত্তি একটি বিকল্প ভাষ্য’ নামক পুস্তক)। ধরিত্রীর এই অংশের মানুষকে, তাদের জীবনযাত্রায় ‘চলতে থাকার’ বাণীর তাৎপর্যের ভিত্তিতে ‘হিন্দু’ নামে অভিহিত করা হয়েছিল।
হিন্দু শব্দের ভিত্তি প্রোথিত আছে চলার সংস্কৃত প্রতিশব্দ हिँड़.-এ (বাংলায় হিন্ঁ লেখা যেতে পারে)। যুক্তির শৃঙ্খলায় এই ধারণার যাথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হলেও একটি প্রশ্ন অতি স্বাভাবিক কারণে মাথাচাড়া দেয়। সেই অতীব সরল এবং মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব বলেই মনে হওয়া স্বাভাবিক। কোন কারণে এগিয়ে চলা অথবা চলতে থাকা এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল যে সেই শারীরিক ক্রিয়া তৎকালীন মানুষের জীবনের দিশা নির্দেশকারী মূলমন্ত্র হয়ে উঠেছিল? প্রাগৈতিহাসিক প্রেক্ষাপটের তৎকালীন পৃথিবীর যে কল্পনা মনে আসে, সেই পৃথিবী বোধহয় অন্য রকম ছিল। ভয় অথবা ক্ষুন্নিবৃত্তির প্রলোভনের প্রকোপে অপর কোনো মনুষ্য গোষ্ঠী নির্ধারিত একটি নির্দিষ্ট জীবনপদ্ধতির অনুসরণ খুব একটা যুক্তিপূর্ণ হওয়ার কোনো কারণ থাকার কথা ছিল না। এমন কোনও অনুগমনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি, এমনকি লোককথা, কিংবদন্তি বা অন্য কোনোরকম প্রাচীন সূত্রে পাওয়া যায় নি। সেই জীবনপদ্ধতির অনুসরণ ছিল সম্পূর্ণ স্বৈচ্ছিক এবং স্ব-আরোপিত।
জীবনযাত্রার সেই নতুন পথের অনুসরণের প্রক্রিয়ায় দুটি মূল প্রভাবকে চিহ্নিত করা যেতে পারে, প্রথমটি শারীরিক এবং দ্বিতীয়টি বৌদ্ধিক বিচারভিত্তিক।
যে ভূভাগে সেই সামাজিক পরিবর্তন ঘটেছিলো তার সার্বিক পরিবেশ মনুষ্যবাসের উপযোগী হয়ে ওঠার ঘটনা ভূতাত্ত্বিক ও ভৌগোলিক শক্তিসমূহের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার দ্বারা সেই সময়ের সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেছিলো।
প্রাচীন ভারতের অনেকগুলি ধোঁয়াশাভরা বিষয়ের যথাযথ যুক্তিনির্ভর ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব প্রামাণ্য ভূগোল ভিত্তিক পর্যালোচনার মাধ্যমে। সেই বিষয়গুলির যুক্তিনির্ভর উত্তর এই দেশ এবং তার সংস্কৃতি সম্বন্ধে উত্থাপিত অনেক প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য ভাষ্য প্রদানের ক্ষমতা রাখে। বর্তমান পুস্তকে সেই প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book হিন্দু’র উৎপত্তি ( দ্বিতীয় পর্ব ) আর্য রহস্য.