You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির কথা তো সবার জানা। কিন্তু আমার মত ফেলুদার die hard fan দের জানতে ইচ্ছে করে পুরোটা।
যেমন ধরুন গোয়েন্দাগিরির ফাঁকে ফাঁকে ফেলুদা কি খায়, কি পড়তে ভালবাসে, কেমন আড্ডা দেয়, কোন খেলা প্রিয়, কি ধরণের মানুষ তার পছন্দ ইত্যাদি। এর অনেকগুলোর উত্তর তার স্রষ্টাই দিয়ে গেছেন দু এক কথায়—-যেমন ফেলুদার প্রিয় মিহিদানা এবং আরণ্যক। কিন্তু এছাড়া আরো অনেক ব্যাপার পাঠক কল্পনা করে নিতেই পারে।
মোদ্দা কথা ঐ বাছা বাছা রহস্যভেদ ছাড়া ফেলুদা লোকটা কি করত, কেমন ভাবে দিন কাটাত, কিসে খুশী হত, কিসে দুঃখ পেত… সেই সব কল্পনার ওপর ভিত্তি করেই এই কাহিনী।
আর একটা বড় অধ্যায় তো থাকেই! ফেলুদার লাভ লাইফ। অনেক বিশুদ্ধবাদীরা হয়তো রে রে করে উঠবেন। কিন্তু ঐ রকম ক্যারিশমাটিক গোয়েন্দার জীবন এরকম নারী বিবর্জিত হয় কি করে! আশপাশের হোঁতকা, টেকো, ভীতু, ছাপোষা লোকেরা হামেশা প্রেম করছে, বিয়ে করছে অথচ ঐ বুদ্ধিমান, সুদর্শন, সাহসী গোয়েন্দার জীবনে কেউ আসেনি!
ব্যোমকেশের জীবনে সত্যবতী থাকায় তার সত্যাণ্বেষণের ধার কিছুমাত্র কমেনি। বরং মানুষ হিসেবে তাকে আরো সম্পূর্ণ লেগেছে। এমনকি শার্লক হোমসেরও আইরিন আ্যডলারের সঙ্গে মোলাকাত হয়েছিল।
ফেলুদার মূল গল্পটা ছিল কিশোরপাঠ্য রহস্য উপন্যাস। ফলে সেখানে এই দিকগুলো ইচ্ছে করেই বাদ রাখা হয়ে ছিল।তার মানে এই নয় যে ঐ দিকগুলো কখনো ছিল না বা থাকতেই পারে না। সেগুলো নিয়েও লেখাই যায়।
এর তো কোনো ঠিক-ভুল হয় না। একজনের কল্পনার সঙ্গে আরেকজনের মিলতেও পারে আবার নাও পারে।
কিন্তু আমার এই পুরো প্রচেষ্টার পেছনে কারণটিই হল ফেলুদার প্রতি মুগ্ধতা। এক কিশোরপাঠ্য গল্পের গোয়েন্দাকে একজন পুরোপুরি রক্ত মাংসের মানুষ বলে ভাবা।
ফেলুদা এক বাংলা সাহিত্যের এক আইকনিক চরিত্র। ফ্যান ফিকশন এই ধরণের চরিত্রদেরই হয়, অখ্যাত বা অনামীদের নয়। সব ফ্যান ফিকশনের মূল প্রতিপাদ্যই হয় একটি আইকনিক চরিত্রকে তার মূল সৃষ্টির বাইরে গিয়ে কিছুটা অন্য আঙ্গিকে দেখা।
আমার এই প্রচেষ্টাটিও তেমনি এক ফ্যান ফিকশন।
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book অন্য ফেলুদার গল্প.