You can access the distribution details by navigating to My Print Books(POD) > Distribution
এই উপন্যাস ইতিহাস নয় — বরং ইতিহাস থেকে অনুপ্রাণিত একটি কল্পনালব্ধ উপাখ্যান। মুর্শিদনামা লিখতে গিয়ে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ১০ শতাংশ বাস্তব তথ্য ও ৯০ শতাংশ সাহিত্যিক কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি। কারণ ইতিহাস অনেক সময় নিরুত্তর — আর আমি সেই নিঃশব্দতায় খুঁজে ফিরেছি সম্ভাব্য কথন।
বছর ১৭২৫। বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ তখন তার শেষ দিনগুলিতে। তার গঠিত প্রশাসনিক কাঠামো, ধনভাণ্ডার ও আভিজাত্যের ভিতর দিয়ে তখনই জন্ম নিচ্ছে পরবর্তী শাসকবর্গের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। তাঁর জামাতা সুজাউদ্দিন মোহাম্মদ খাঁ এবং পৌত্র সরফরাজ খাঁ–এর মধ্যে গোপন ও স্পষ্ট সংঘাত রাজসভা থেকে জনমানসে ছড়িয়ে পড়ছে। কে হবেন পরবর্তী নবাব — এই প্রশ্নের উত্তর তখনো ইতিহাস নির্ধারণ করেনি। কিন্তু সেই উত্তরের সন্ধানে শুরু হয়ে যায় এক শাসনকেন্দ্রিক পারিবারিক রাজনীতি, যার ছায়া পড়ে মুর্শিদাবাদের ভবিষ্যতের ওপর।
এই ইতিহাসের পটভূমিতেই আবির্ভাব ঘটে এক রহস্যময় চরিত্র — জগৎ শেঠ। তার ব্যাংকিং সাম্রাজ্য, নবাবদের ওপর প্রভাব, এবং গোপন লেনদেনকে ঘিরে গড়ে ওঠে ষড়যন্ত্রের এক জটিল জাল। এই উপন্যাসে আমি সেই জটের ভেতরে টেনেছি কিছু কল্পিত চরিত্র — তিনজন তরুণ, যারা ইতিহাসের স্রোতে হঠাৎই জড়িয়ে পড়ে রাজনীতি, অর্থ, এবং বিশ্বাসঘাতকতার মহাসমরে।
তাঁদের মধ্যে কেউ আদর্শবাদী, কেউ বুদ্ধিদীপ্ত, আবার কেউ নিছকভাবে সাহসী — কিন্তু প্রত্যেকেই প্রশ্ন তোলে: ইতিহাস কী শুধু বিজয়ীদের লেখা? না কি পরাজিত ও গোপন মুখগুলোরও কিছু না-বলা কাহিনি আছে?
মুর্শিদনামা কোনও তথ্যচিত্র নয়। এটি ইতিহাসের ভেতরে ঢুকে কল্পনার আলোয় সেই সব অজানা দিকগুলো খুঁজে পাওয়ার এক সাহিত্যিক প্রয়াস। পাঠকের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ — এই উপন্যাসে যেন তারা শুধু তথ্য খোঁজার বদলে সময়, অনুভূতি, এবং চরিত্রগুলোর দ্বন্দ্বকে অনুভব করেন।
কারণ, ইতিহাস কখনো কখনো কল্পনার মধ্য দিয়েই প্রাণ পায়।
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book Murshidnama-Marpyache Murshid.