You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
তাদের দেশের পূর্ব দিশায় , অনেক দূরে কোথাও একটি দেশ আছে , যেখানে গঙ্গানদী প্রবাহিত হয় সেকথা মানবসভ্যতার বর্তমান পর্যায়ের ঊষাকাল হতে ইউরোপীয়দের জানা ছিল | টলেমির বিশ্ব মানচিত্র সেকথার সাক্ষ্য দেয় | সেই অঞ্চলের ( ইউরোপ ) মানুষ যে টলেমির রচনার বহু পূর্বে গঙ্গার প্রবাহ ক্ষেত্রে পদার্পণ করেছিল তার প্রচুর প্রমাণ আছে | গাঙ্গেয় সমভূমির কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত মানব সভ্যতার সম্পর্কে ইউরোপীয় ইতিহাসকারের লেখা প্রতক্ষ্যদর্শীর বিবরণ পাওয়া যায় যা যীশু খ্রিস্টের আবির্ভাবের অনেক আগের সময়ে লেখা | টলেমির জন্ম হয়েছিল যীশু খ্রীষ্টের জন্মের শতাধিক বছর পরে | গ্রীক এবং রোমান সাম্রাজ্যগুলি সেই একই পরিণতিতে পৌঁছেছিল , যা শেষ পর্যন্ত সকল সাম্রাজ্যের অদৃষ্টে লেখা থাকে | সেই পর্যায়ের পরবর্তীকালে ইউরোপে অন্ধকার যুগের সূত্রপাত হয় | উজ্জ্বল এক মানব সমাজ অবাধ পতনের দিকে অগ্রসর হয় |
সেই সময়ে , আমরা যাকে ‘ আধুনিক সময় ’ বলি , যখন ইউরোপ নতুন করে আবার নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছিল , তখন ইউরোপ এবং গঙ্গার প্রবাহ ক্ষেত্রের মধ্যে কিছু বিরূপ শক্তির আবির্ভাব হয়েছিল | সম্ভবত সেই কারণে সেই যাত্রাপথে ভ্রমণ করা এবং যোগাযোগ বজায় রাখার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছিল | তদুপরি , ততদিনে , প্রযুক্তির উন্নতির কারণে , স্থলপথে ভ্রমণের তুলনায় সামুদ্রিক রাস্তায় যোগাযোগ অনেক বেশী আকর্ষণীয় এবং গ্রহণযোগ্য বিকল্প হিসাবে প্রতিপন্ন হয়েছিল |
বিভিন্ন কারণে , গঙ্গার প্রবাহ ক্ষেত্র অনাদিকাল থেকে সমগ্র বিশ্বকে তার নিজের দিকে আকৃষ্ট করেছে | বলা হয় যে সেই অঞ্চলের সম্পদের বর্ণনা আধুনিক ইউরোপীয়দের সেই অঞ্চলের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিল | ভিন্ন ভিন্ন বিচারকর্তার বিচারে এবং পরিপ্রেক্ষিতের পরিবর্তনে , ‘ সম্পদ ’ শব্দটি ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা অর্জন করে থাকে |
আধুনিক কালের ইউরোপীয়রা পনের শতকের অন্তিম পর্যায়ে সামুদ্রিক রাস্তায় আফ্রিকা মহাদেশকে পশ্চিম হতে পূর্ব দিশায় প্রদক্ষিণ করেছিল | সেখান থেকে ভারতে পৌঁছতে তাদের খুব বেশী সময় লাগেনি | আফ্রিকার মতোই পশ্চিম ইউরোপের সমস্ত দেশের মানুষ ভারতে এসে উপস্থিত হয়েছিল | ভারতে এসে পৌঁছালেও , বাংলা অববাহিকায় না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা প্রকৃত ‘ গঙ্গার ভূমিতে ’ পৌঁছাতে পারেনি |
জানা যায় যে মাত্র ১৭ জন মানুষ সফলভাবে বাংলা অববাহিকার শেষ হিন্দু শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল | বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যার শেষ মুসলিম শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে তার তুলনায় খুব বেশী শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি | ব্রিটিশরা গোটা দেশের, অর্থাৎ ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতায় নিজেদেরকে অধিষ্ঠিত করার আগে ' গঙ্গার ভূমি ’ র একটি উল্লেখযোগ্য অংশে শাসন শুরু করার সুযোগ পেয়েছিল|
শেষ পর্যন্ত, সেই অঞ্চলে , তাদের নজরে এমন কিছু অতি প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য , বিশেষ করে অতি প্রাচীন সাহিত্য এসে পৌঁছেছিল , যা সেই দেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল | সেই অধ্যায়টি কোনোভাবেই ইউরোপীয়দের ভারত সম্পর্কিত প্রাথমিক পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে স্বীকৃত হতে পারে না | ইউরোপীয়দের সেদেশে পদার্পণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল সম্পদ আহরণ করা , বিশেষ করে বাণিজ্যের মাধ্যমে |
ভারতের প্রাচীন রচনাসমূহের গভীরতায় যথাসম্ভব অনুসন্ধান করার প্রচেষ্টায় তারা এক প্রায়-বিস্মৃত সভ্যতার সন্ধান পেতে শুরু করে | সেই প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতার অস্তিত্ব সে দেশের স্বল্পসংখ্যক বাসিন্দার কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল | ইউরোপীয়রা বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত , ভারতের বিস্মৃত অতীতের প্রতিনিধি স্বরূপ , অতি-খণ্ডিত প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারকে যথাসম্ভব পূর্ণরূপ প্রদান করার যে প্রচেষ্টা শুরু করেছিল তা ছিল এক অর্থে তুলনাহীন |
সেই কর্মকান্ডে তাদের সাফল্য মূলত আবর্তিত হয়েছিল খণ্ডিত রচনা সমূহের একত্রীকরণের ক্ষেত্রে | সেই রচনাগুলির অভিপ্রেত অর্থ বোঝার ক্ষেত্রে ইউরোপীয়রা ছিল অসহায় | যে সকল ভারতীয় সেই সব রচনার অবশিষ্টাংশের ঐতিহ্য বহন করে চলেছিল তারাও সেগুলির প্রকৃত মর্মার্থের সম্পূর্ণ সন্ধান দিতে সক্ষম হয়নি | এক কথায় বলতে গেলে মূল সুরটি রয়ে গেলেও , সেই সব রচনার প্রকৃতার্থ চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলো | যেটুকু অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল , তা ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির অবদান | অন্যান্য অনেক কিছুর মতোই , সেই সকল প্রচেষ্টা বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় |
প্রাচীন রচনাসমূহ থেকে জানা যায় যে, মানব সভ্যতার এক অতি ধূসরকালে ভারতের পূর্বাঞ্চলে ‘ বঙ্গ ’ নামে একটি অঞ্চল ছিল | সেই ভূ-রাজনৈতিক একক , মানব ইতিহাসের সেই আদিম যুগেও বিদ্যমান ছিল যে সময়ে বর্তমান মানুষ প্রামাণ্য ইতিহাসের মাধ্যমে পৌঁছাতে পারে | সেই একই ভূ-রাজনৈতিক এককটি সেই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মুখে ' বাংলা ' নামেও সমধিক পরিচিত | ‘ বাংলা ’ ও ‘ বঙ্গ ’ শব্দের আবির্ভাব নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ তাদের মতামত দিয়েছেন | ‘ বাংলা ’ শব্দের আবির্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু যৌক্তিক , বিশ্লেষণভিত্তিক ব্যাখ্যা পেশ করা হলেও ‘ বঙ্গ ’ শব্দের ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি সম্ভব হয়নি | সেই শব্দের তাৎপর্য ব্যাখ্যায় বড়জোর সেই শব্দকে কাছাকাছি উচ্চারণযুক্ত কোনো একটি পূজনীয় সত্তার সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে | সেই শব্দের উৎপত্তির কোনো কারণ-ভিত্তিক বা বাস্তব প্রমাণ-ভিত্তিক ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি|
ব্যাখ্যাতীত কোনো এক কারণে চলমান মানবগোষ্ঠী সমূহের উপুর্যুপরি ঢেউ যুগে যুগে বাংলা অববাহিকা অঞ্চলে এসে পৌঁছেছে | সেই ঘটনা অনেকটা হিমালয় এবং দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চল হতে সৃষ্ট পলির অসংখ্য স্তরের মতোই , যেগুলি সহস্রাব্দের পর সহস্রাব্দ ধরে সেই অববাহিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল | ইউরোপীয়রা, বিশেষ করে ব্রিটিশরা, সেই প্রকার একটি ঢেউ এর মতোই ছিল | ভারতে এবং একই সাথে বাংলার উপর ঔপনিবেশিক শাসন চাপিয়ে দেওয়া ছাড়াও , তারা সেই ভূখণ্ডের প্রায় বিস্মৃত ঐতিহ্য উন্মোচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল | ব্যাখ্যাতীত কোনো প্রভাবে , তারা বাংলা অববাহিকায় কলকাতা নামে একটি শহর তৈরি করেছিল এবং সেটিকে তাদের দ্বিতীয় স্বদেশ হিসাবে বিবেচনা করতে বেছে নিয়েছিল| ব্রিটিশদের সেখানে একটি দ্বিতীয় স্বদেশ সৃষ্টি করায় উৎসাহ প্রদান করার মতো খুব কম মিলই ব্রিটেন এবং বাংলা অববাহিকার মধ্যে বর্তমান ছিল |
নতুন করে বিস্তৃত পলির স্তরগুলি বঙ্গীয় অববাহিকার ভূগোলকে নিত্যনতুন ভাবে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে | একই ভাবে সেই ভূগোলে মানব অভিবাসনের নিত্যনতুন তরঙ্গ সেই অববাহিকার মানব সমাজকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে | ব্যবহৃত ভাষা, সংস্কৃতি, অনুভূত ইতিহাস ইত্যাদি সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিক নিয়মে অথবা সচেতন প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে এবং হয়ে চলেছে | সেই অববাহিকার চরিত্র নির্ধারক কিছু মৌলিক বিষয় কারও পক্ষেই মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি | সেই প্রকার বিষয়গুলির মধ্যে ‘ বঙ্গ ’ শব্দটি অন্যতম , অপরটি হলো ‘ বাংলা ’ | মানব ইতিহাসের প্রবল ঘূর্ণাবর্তের মধ্যেও সেই শব্দ দুটি টিঁকে গেছে | কিন্তু কেউই এই শব্দগুলির অস্তিত্বে আসার অথবা তাদের প্রচলনে আসার যুক্তিনির্ভর কোনো ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হননি |
যে কোনো কিছুর প্রতি আগ্রহ কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনা থেকে উদ্ভূত হয় , তা বস্তুগত প্রাপ্তিই হোক বা অন্য কোনো ধরনের প্রাপ্তি ; তা তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি হোক বা ভবিষ্যতে প্রাপ্তির সম্ভাবনা | প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে , ইউরোপীয়দের আগ্রহ তাৎক্ষণিক বস্তুগত প্রাপ্তির সম্ভাবনা থেকে উদ্ভূত হয়নি | খুব সম্ভবত , সেটি একটি বৌদ্ধিক অনুপ্রেরণা ছিল , যা তাত্ক্ষণিক কোনো বৈষয়িক প্রাপ্তির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেনি | এখন , কয়েক শতাব্দী অতিবাহিত হওয়ার পরে , বলা যেতে পারে যে সেই প্রাচীন ভারতীয় রচনাগুলিতে মানব মননে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ক্ষমতা ছিল | সেকথা হয়তো ইউরোপীয়গন অনুভব করেছিলেন এবং তা থেকে প্রেরণা লাভ করেছিলেন |
ইউরোপীয়দের , বিশেষত ব্রিটিশদের সেই সব কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল বাংলা অববাহিকার কলকাতা শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী কিছু অঞ্চল | সেইসব কর্মকান্ডের অঙ্গ হিসাবে ছাপাখানার আবির্ভাব ঘটে ; বাংলা সাহিত্য সৃষ্টিতে ব্যাপক উদ্দীপনার সঞ্চার হয় | একটি নবজাগরণ প্রক্রিয়ার সূত্রপাত হয় | ' নবজাগরণ ' শব্দের চয়ন থেকে অনুমান করা যায় যে বিশেষজ্ঞগণের বিচারে , বিস্মৃত সময়ে সেই ভূমির সুপ্রাচীন অধ্যায় বৌদ্ধিক উৎকর্ষের শিখরে আরোহণ করেছিল |
ব্রিটিশদের ভারত শাসনের প্রায় অন্তিম পর্যায়ে , অধ্যাপক হরিচরণ বন্দোপাধ্যায় , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় এবং ছত্রছায়ায় বাংলা ভাষার একটি অভিধান সৃষ্টি করেন যেখানে বাংলা শব্দ সমূহের আবির্ভাব এবং সেগুলির ব্যাকরণগত যাত্রার বিবরণ উপস্থাপিত হয়েছিল | যে কোনো ভাষা-ভিত্তিক জাতির জন্য , সেই ধরনের অভিধান একটি গর্বের বিষয় এবং সাংস্কৃতিক মেরুদণ্ড হিসাবে প্রতিগনিত হতে পারে | সংস্কৃত ভাষা, বিশেষ করে সংস্কৃত ব্যাকরণ , বর্তমান বাংলা ভাষার বিকাশে কীভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল তার প্রমাণ সেই অভিধান থেকে পাওয়া যেতে পারে |
অধ্যাপক বন্দোপাধ্যায় তাঁর কাজের মাধ্যমে বাংলা তথা ভারতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের এত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছিলেন যে একজন ব্যক্তির পক্ষে এক জীবনে সেগুলিকে উপলব্ধি করা অসম্ভব | ' বঙ্গ ' শব্দের জন্য তিনি প্রায় নয় দশক আগে যে সমস্ত মতবাদ সূচিবদ্ধ করেছিলেন, তা সেই সময়ের পরে অন্য কোনো বিশেষজ্ঞ দ্বারা নতুন করে সমৃদ্ধ হতে পারেনি | তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেননি| বর্তমান কাল হতে প্রায় শতাধিক কাল পূর্বে তিনি যে কিভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেই পরিমাণ খুঁটিনাটি বিবরণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন তা বিস্ময়ের উদ্রেক করে |
যাইহোক, সেই ব্যাখ্যাগুলির কোনটিই প্রশ্নাতীতভাবে ' বঙ্গ ' শব্দের উৎসমূল এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে না , যা বাস্তব এবং প্রামাণ্য তথ্য দ্বারা প্রত্যয়িত হতে পারে |
যে ভাবেই হোক নারুর মনে একথার উদয় হয়েছিল যে সেই শব্দের যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা সেই অববাহিকার প্রাচীন ইতিহাসে এক ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে | তার মনে প্রতীত হয়েছিল , সেই শব্দের একটি বিজ্ঞান-সম্মত ব্যাখ্যা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে | একাকী , নীরবে , জীবনের এক অতিদীর্ঘ সময় ব্যাপী সে সেই উদ্দেশ্যে মনোনিবেশ করেছিল |
বর্তমান লেখটি ' বঙ্গ ' শব্দের সাথে যুক্ত প্রহেলিকার সমাধানে নারুর বৌদ্ধিক যাত্রা সম্পর্কিত , যা পরিণতিতে পৌঁছতে সমর্থ হয়েছিল | সে এমন একটি সূত্রের সন্ধান পেতে সমর্থ হয়েছিল যা ‘ বঙ্গ ’ শব্দের প্রকৃত অর্থ এবং তার উদ্ভবের একটি বাস্তবসম্মত, প্রমাণ-ভিত্তিক , অশ্রুতপূর্ব ব্যাখ্যা প্রদান করে |
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book বাংলার উৎপত্তি অষ্টম পর্ব বঙ্গ.