You can access the distribution details by navigating to My pre-printed books > Distribution
জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও বৈশি^ক উষ্ণতায় বাংলাদেশর অবদান সর্বনিম্ন, দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ১৯৯১ থেকে ২০২০ এর মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১৯৭ টি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে যা এদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি করেছে। এ সংকট দক্ষিণ-পশ্চিম উপক‚লীয় অঞ্চলে আরও প্রকট। বার বার ঘূর্ণিঝড়, বেড়িবাঁধ ভাঙন, জলোচ্ছা¦স এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার মানুষ সহায় সম্বল হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করছে। খাদ্য সংকট, জীবিকার উৎস হ্রাস, স¦াস্থ্য ঝুঁকি, অপুষ্টি, রোগ ব্যাধি বৃদ্ধি সহ অর্থনৈতিক সংকট দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মানুষকে গ্রাস করছে। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে বিভিন্ন সংকটের সামনে দাঁড় করাচ্ছে। এই সংকট থেকে উত্তোরণের পথ খুঁজে বের না করলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল জনশূণ্য হয়ে পড়বে।
কিছু পরিবেশগত ঝুঁকি এই এলাকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবন জীবিকাকে সরাসরি ঝুঁকিপূর্ন করে তুলেছে। ধনী শ্রেনীর মানুষ এই ঝুঁকিকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে (যেমন লবনাক্ততা বৃদ্ধিকে চিংড়ী চাষ করে কাজে লাগাচ্ছে) বা অধিক অর্থ ব্যয় করে অন্য কর্মস্থানের সাথে যুক্ত হচ্ছে অথবা সরকারী ও বেসরকারী সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। গরীব মানুষ বিশেষ করে হতদরিদ্ররা যেহেতু তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কম, সে কারনে সামাজিক এবং পারিবারিক বন্ধন অটুট রেখে জলবায়ু পরিবর্তনগত ঝুঁকির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী সুযোগ সুবিধা গুলিতে তাদের সুযোগ দিন-দিন কমে যাচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলীয় এলাকায় স্বভাবত জলবায়ু পরিবর্তনের এই ঝুঁকি সমুহ খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবিকার নিরাপত্তাকে হুমকির মূখে ফেলেছে। যে সকল জনগণ অসচেতন তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি সমুহ অত্যন্ত ধ্বংসাত্বক। উপকুলীয় এলাকায় একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠি জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ গুলো সম্পর্কে সচেতন নয়। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য এবং জীবিকার সমস্যাকে মোকাবিলা করার জন্য লিডার্সের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে লিডার্সের কৌশলগত পরিকল্পনা হচ্ছে তার নিজস্ব পরিমন্ডলে ছোট এবং দৃশ্যমান ঝুঁকি সমুহ মোকাবেলা করা। জীবিকার নিরাপত্তা বলতে জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরনে টেকসই ও নিরাপদ আয় এবং সম্পদকে বুঝে থাকি। এটি প্রাকৃতিক সম্পদ যেমনঃ ভূমি, জল, বন ইত্যাদিতে দরিদ্র মানুষের অধিকার, আইনের শাসন, নারী-পুরুষের সমতা, সুষ্ঠ সংস্কৃতির চর্চা, চাকুরির সুযোগ ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল।
যদি পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে, খাদ্য উৎপাদন এবং বন্টনে মানুষের নিয়ন্ত্রন থাকে, মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হয়, যদি সম্পদে নারীর পূর্ন অধিকার থাকে, সুশাসন নিশ্চিত হয়, সংগঠন তৈরীতে ও পরিকল্পনা প্রনয়নে মানুষ দক্ষ হয় তবে জীবন-জীবিকা নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বর্তমান সময়ে মানুষের টেকসই জীবিকা এবং খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান হুমকি সমূহ তৈরী হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে। খাদ্য ও জীবিকার সমস্যা নিরসনে অভিযোজনের দক্ষতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই । বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলীয় এলাকায় সমস্যা সমূহ নিয়ন্ত্রত হচ্ছে জলবাযু ঝুঁকি বৃদ্ধির মাধ্যমে। যেমনঃ সাইক্লোন, লবনাক্ততা, নদী ভাঙ্গন, জলাবদ্ধতা এবং ঋতুর তারত্যমের কারনে খাদ্য উৎপাদন বিঘিœত হচ্ছে।
এই মডউিলটি যকেোনো উন্নয়ন সংস্থা বা স্বচ্ছোসবেী সংস্থা তাদরে প্রকল্পরে র্কমীদরে প্রশক্ষিণরে জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
Currently there are no reviews available for this book.
Be the first one to write a review for the book জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রকল্প পরিচালনা প্রশিক্ষণ মডিউল.